লেখকঃ হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শফী (রহ.)
অনুবাদঃ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান
সম্পাদকঃ আহমদ বদরুদ্দীন খান
প্রকাশনাঃ মাসিক মদিনা পাব্লিকেশন (মূলঃ তাফসিরে মারেফুল কুরআন সৌদি কিং ফাহাদ কমপ্লেক্স)
পবিত্র কোরআনুল কারীম (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর) প্রথম খণ্ড (সূরা ফাতিহা থেকে সূরা আনফাল পর্যন্ত) (হার্ডকভার) (৭৭৬ পৃষ্টা)
পবিত্র কোরআনুল কারীম (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর) দ্বিতীয় খণ্ড (সূরা তাওবাহ্ থেকে সূরা সাবা পর্যন্ত) (হার্ডকভার) (৭৮৪ পৃষ্টা)
পবিত্র কোরআনুল কারীম (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর) তৃতীয় খণ্ড (সূরা ফাতির থেকে সূরা নাস পর্যন্ত) (হার্ডকভার) (৬৯৬ পৃষ্টা)
বিস্তারিত: মুফতী মুহাম্মাদ শফী (উর্দূ: مفتى محمد شفيع) (২১ শা’বান ১৩১৪ হিজরী – ১০ শাওয়াল ১৩৯৬ হিজরী / ২৫ জানুয়ারি ১৮৯৭ – ৬ অক্টোবর ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন একজন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও মনীষী । তিনি দারুল উলূম দেওবন্দ এবং দেশ বিভাগের পর পাকিস্তানের মুফতীয়ে আযম বা প্রধান মুফতী (গ্রান্ড মুফতী) ছিলেন।
মুফতী মুহাম্মাদ শফী ১৩১৪ হিজরী সনের শা’বান মাসের ২১ তারিখে (২৫ জানুয়ারি ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ) জন্মগ্রহণ করেন । তার নাম “মুহাম্মাদ শফী” হযরত রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী কর্তৃক প্রস্তাবিত। ১৩২৫ হিজরীতে (১৯০৭/১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে) তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন । তিনি ১৩৩৬ হিজরীতে (১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ) দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন, তখন তার বয়স ২১ বছর ছিল। এরপর ১৩৩৭ হিজরীতে (১৯১৮/১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ) তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের প্রাথমিক শ্রেণীর শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি খুবই তাড়াতাড়ি উচ্চতর শ্রেণীর শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৩৫০ হিজরী সনে (১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ) দারুল উলূম দেওবন্দের মুফতীয়ে আযম তথা প্রধান মুফতী (গ্রেন্ড মুফতী) নিযুক্ত হন। দেশ বিভাগের পর তিনি তার পিতৃভূমি দেওবন্দ ছেড়ে পাকিস্তান চলে আসেন। তিনি ১৩৭০ হিজরীতে (১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ) পাকিস্তানে দারুল উলূম করাচী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শত এর মত বই (কিতাব) লেখেছেন। তার বিশ্বখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “মা’আরিফুল কুরআন” যা বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে যা তিনি সমাপ্ত করেন (ঊর্দূতে) তার ইন্তেকালের চার বছর আগে। এই আলেমে দ্বীন ও মনীষী ১৩৯৬ হিজরী সনের শাওয়াল মাসের ১০ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।